10 passive income online | smart passive income ideas for students beginner passive income - passive income ideas

Top 10 passive income ideas

passive income ideas



If you’re looking to generate passive income online, here are three beginner passive income opportunities to explore,


1. ওয়েবসাইট তৈরি করে ইনকাম

ব্লগিং অনলাইন আয়ের বেশ পুরাতন কিন্তু অনেক কার্যকরী একটা পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে বেশ ভালো অঙ্কের একটা টাকা প্রতি মাসেই ইনকাম করা সম্ভব।

এটি মূলত একটি ডিজিটাল নিউজ পেপার এর মতো। আপনি আপনার মন মতো কোনো একটি বিষয় নিয়ে লিখবেন। যার ওই বিষয়টি জানার দরকার সে এসে পড়ে যাবে।

আপনি এখন যে লেখাটি পড়ছেন এটিও একটি ব্লগ। অতএব বুঝতেই পারছেন বিষয়টা। লেখালেখি যদি আপনার আগ্রহ থাকে, তাহলে আপনি খুব সহজেই এখান থেকে ইনকাম করতে পারেন।

আপনার যে বিষয়ে আগ্রহ, জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা বেশি সে বিষয়ে ব্লগিং করলে তা সবথেকে বেশি কাজে দেয়।

তাই আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী সেই নিশেই (niche) কাজ করতে পারেন। নিশ(niche) বলতে মূলত নির্দিষ্ট কিছু বিভাগ বোঝায় যেমন, খেলাধুলা, টেকনোলজি, আইন, রান্না, জীবনী, ভ্রমন, ইত্যাদি। উদাহরণ স্বরূপ ভ্রমনের ক্ষেত্রে আপনি কোনো এক জায়গায় ভ্রমনে গিয়ে কি কি অভিজ্ঞতা হয়েছিলো সেটি নিয়ে একটি বিস্তারিত ব্লগ লিখে ফেলতে পারেন।

এখন মূল বিষয় হলো আপনি কোথায় লেখা লিখি করবেন। এক্ষেত্রে সব থেকে ভালো হয় আপনি যদি একটি ব্লগ সাইট নিজে বানিয়ে নিতে পারেন। এখন অনেক সহজে কোনো খরচ ছাড়াই ব্লগ সাইট বানানো যায়। তবে ফ্রি সাইটগুলো কে মানুষ একটি কম বিশ্বাস করে।

তাই আমাদের পরামর্শ থাকবে প্রথমে কিছু টাকা খরচ করে ডোমেন কিনে হোস্টিং ঠিক করে আকর্ষণীয় একটি সাইট তৈরি করুন। এরপর ওখানে লেখা লেখি শুরু করুন। দেখবেন বেশ ভালো ফল পাচ্ছেন।

একটি ডট কম ডোমেন কিনবেন সাথে এক জিবি হোস্টিং এবং একটি ফ্রি থিম। এই তিনটা জিনিসই আপনার ব্লগিং শুরু করার জন্য যথেষ্ট। এক্ষেত্রে আপনার তিন হাজার টাকা মতো খরচ হতে পারে।

এইভাবে খরচ করে ব্লগিং করলে আপনার ব্র্যান্ডিং টা ভালো হবে এবং ইনকাম এর পরিমানও অনেক বেশি হবে ফি সাইটের তুলনায়। আর ভবিষ্যতে আপনার সাইট এর দামও অনেক হবে। ক্ষেত্র বিশেষে একটি ভালো সাইটের মূল্য কয়েক লক্ষ্য পর্যন্ত হয়ে যায়।

আর ফ্রি সাইট গুলোর ক্ষেত্রে আপনাকে পুরো ডোমেইন দিবে না গুগোল। আপনি সেক্ষেত্রে পাবেন সাব ডোমেইন। এভাবে ব্লগ সাইট খোলার ক্ষেত্রে আপনি খুব সহজেই ব্লগস্পট দিয়ে ১০ মিনিটেই একটি ব্লগসাইট খুলতে পারেন।

আর এক্ষেত্রে আপনি মোবাইল এবং কম্পিউটার উভয় মাধ্যমেই কাজ করতে পারেন। তাই যারা মোবাইলে অনলাইন ইনকামের কথা ভাবছেন, তাদের জন্যও এটি একটি সেরা সুযোগ হতে পারে।

তবে এতো কিছুর পাশাপাশি আপনার যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর কিছুটা ধারনা থাকে তাহলে কিন্তু আপনি খুব সহজেই আপনার সেই ব্লগে প্রচুর পরিমাণে ট্রাফিক বা ভিজিটর আনতে পারবেন। যার মাধ্যমে আপনি কিন্তু আপনার ইনকামের পরিমাণ বহুগুণে বাড়িয়ে ফেলতে পারবেন খুব সহজেই।

2. ফ্রিলান্সিং করে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়

অনলাইনে যে পদ্ধতিতে সবথেকে বেশি মানুষ রোজগার করে সেটি হলো ফ্রিলান্সিং। বাংলদেশের বেকারত্ব কমাতে এই খাতটি অনেক বড় ভুমিকা পালন করছে এবং সাথে সাথে অনেক দক্ষ মানুষ এই খাতে কাজ করে আমাদের দেশকে রিপ্রেসেন্ট করছে 

পৃথিবীর কাছে বাংলাদেশকে তুলে ধরছে। আসলে বিশ্বের অনেক বড় বড় দেশের মানুষের জানতোই না যে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ বলে একটা দেশ আছে। সেসব মানুষের কাছে বাংলাদেশকে পরিচিত করছে আমাদের দেশের ফ্রিল্যান্সারগণ।

সাথে সাথে প্রতি মাসে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স তারা এনে দিচ্ছে বাংলাদেশে। তাই এই ফ্রিলান্সিং এ যোগদান করে আপনি টাকা আয় করার পাশাপাশি এই গৌরবেরও অংশীদার হতে পারবেন।

এখন আসি কিভাবে শুরু করবেন এই কাজ। ফ্রিলান্সিং বলতে মুলত বিভিন্ন ধরনের কাজ যে কাজে আপনি দক্ষ সে কাজটি একটি নির্দিষ্ট পারিশ্রমিক এর বিনিময়ে করে দেয়া।

এখানে আপনার কাজ করার এবং আপনার যে ইমপ্লয়ার (Employer) তার নির্দিষ্ট কোনো জায়গা নাই। আপনি ঘরে বসেই আপনার কাজ সম্পাদন করতে পারবেন এবং আপনার ক্লায়েন্ট হবে বিভিন্ন দেশের। সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হতে থাকবে।

যাহোক, সবার প্রথমে এখানে আপনার দরকার একটি নির্দিষ্ট বিষয় দক্ষতা। এটা হতে পারে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং (Graphics Design), হতে পারে ফটো এডিটিং (Photo Editing), হতে পারে ওয়েব ডিজাইনিং (Web Design), ওয়েব সাইট মেকিং (Website Making), কপি রাইটিং (Copywriting), কন্টেন্ট রাইটিং (Content Writing), লোগো ডিজাইন (Logo Design), ইত্যাদি।

এসবের যেকোনো একটি কাজে আপনি দক্ষতা অর্জন করতে পারলেই আপনি ফ্রিলাঞ্চিং করতে পারবেন। আপনি যদি একাধিক কাজ পারেন সেক্ষেত্রে আপনার টাকা ইনকামের সুযোগ বেশি হয়ে যায়।

কাজ শেখার পর আপনাকে বিভিন্ন ফ্রিলান্সিং সাইটে (যেমন- Freelancer, Upwork, Fiver, ইত্যাদি)  আপনার তথ্য দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এর পরে আপনি কোন কোন কাজে পারদর্শী সেগুলো ওই সাইটে মেনশন করে দিতে হবে।

তবে একটা বিষয় আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে। বর্তমান সময়ে অনলাইন ইনকাম সাইট অনেক আছে। কিন্তু সঠিক ও ভালো মানের সাইট খুব একটা নেই।

তাই যেকোনো ওয়েবসাইটে কাজ শুরু করার আগে অবশ্যই ভালো ভাবে সাইটটি দেখে নিবেন। যদি সব কিছু দেখে আপনার কাছে ভালো বলে মনে হয় কেবল তাহলেই আপনি সেই সাইটে কাজ করা শুরু করবেন।

তারপর, আপনি যে কাজ পারেন তার প্রমানের জন্য আপনার পূর্বেই সম্পাদিত কোনো কাজ থাকলে সেটা পোর্টফোলিও আকারে ওই ওয়েবসাইটে সাজিয়ে রাখতে হবে। এতে করে আপনার ক্লায়েন্ট এসে আপনার পোর্টফলিও দেখে পছন্দ করলে আপনাকে কাজে নিয়োজিত করবে।

এক্ষেত্রে আমাদের পরামর্শ থাকবে অবশ্যই ভালো একটা পোর্টফলিও তৈরি করার জন্য কারন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নতুন হিসাবে ওই পোর্টফোলিও গুলোই আপনাকে কাজ পেতে সহায়তা করবে।

প্রথম প্রথম আপনাকে কাজ পেতে একটি অসুবিধা হতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনার পরিচিত কেও যদি ফ্রিলান্সার থাকে তার রেফারেন্স নিতে পারেন।

এই রেফারেন্স এর মাধ্যমে কাজ পেয়ে আপনার প্রথম ক্লায়েন্ট যখন আপনাকে ভালো একটা রিভিউ দিবে, তখন দেখবেন কাজ আসতেই থাকবে।

এছাড়াও প্রথমে গিয়ে বিভিন্ন কন্টেস্টে অংশগ্রহন করতে পারেন। ওখান থেকেও ক্লায়েন্ট পেতে পারেন। আমাদের মতে ফ্রিলান্সিং এর ক্ষেত্রে প্রথম কাজটা পাওয়াই একটু কঠিন।

3. ইউটিউব চ্যানেল খুলে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়

বাংলাদেশের অনেক বড় বড় ইউটিউবার আছে। এদের কারো কারো মাসের ইনকাম ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। আপনিও কিন্তু চাইলেই ইউটিউব ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করা শুরু করতে পারেন।

এই ভিডিও বানাতে আপনার ক্যামেরা না থাকলেও চলবে। প্রথমে অনেক বড় বড় ইউটিউবার-ই মোবাইল দিয়ে ভিডিও করে শুরু করে তাদের ইউটিউব যাত্রা। তারপরে সফল হওয়ার পরে এখন তারা দামি দামি গেজেট ব্যবহার করে।

আপনার কন্টেন্ট যদি ভালো থাকে, প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে যদি আপনি ভিডিও বানাতে পারেন, তাহলে খুব তাড়াতাড়িই আপনি ভিউয়ার পেয়ে যাবেন।

তবে এক্ষেত্রে একটি ছোট্ট বিষয় টিপস দিয়ে রাখি আপনাদের। আপনারা যদি সত্যিই প্রফেশনালভাবে ইউটিউবে কাজ করতে করতে চান তাহলে ভিডিওর অডিও ও ভিডিও এডিটিং খুবই ভালো ভাবে করতে হবে।

তারপরে সর্বনিম্ন এক হাজার সাবস্ক্রাইবার হয়ে গেলে এবং ন্যূনতম ভিউ টাইম হয়ে গেলে আপনি মানিটাইজেশন এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। এর পরে প্রতিটা ভিডিওতে মানিটাইজেশন একটিভেট করে নিলেই আপনার ইনকাম শুরু হয়ে যাবে।

এছাড়াও বর্তমানে ইউটিউব কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ছাড়াও আপনি বিভিন্ন জায়গা থেকে স্পন্সারের মাধ্যমেও ইনকাম করতে পারেন। দেখা গেলো কোনো একটা কোম্পানি কোনো একটা পন্যের মার্কেটিং এর জন্য আপনার ভিডিও তে তার ওই পন্য বিজ্ঞাপন দেয়ার জন্য বললো। আপনি এক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন দিতে সম্মতি প্রকাশ করলে আপনাকে আপনার চাহিদা অনুযায়ী সে পেমেন্ট করবে।

4. অনলাইনে কোচিং সেন্টার খুলে টাকা ইনকাম

আমাদের আসে পাশে অনেক মানুষই দেখতে পাবেন বাড়ি বাড়ি গিয়ে অথবা কোনো কোচিং সেন্টার খুলে সেখানে পড়াচ্ছেন। এভাবে পড়িয়ে মাসে অনেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করে থাকেন। কিন্তু এভাবে বাসায় গিয়ে গিয়ে পড়ানোর ক্ষেত্রে অনেক সময় এবং অর্থ যাতায়াতেই চলে যায়।

অন্যদিকে কোচিং সেন্টারের জায়গা জোগাড় করাও একটি কষ্টসাধ্য বিষয়। এক্ষেত্রে বর্তমানে বাংলাদেশে যে বিষয়টি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সেটি হলো অনলাইন টিচার (Online Teacher) কনসেপ্ট।

আপনি চাইলেই ঘরে বসেই অনলাইনে ছাত্রদের পড়িয়ে অনেক বেশি অর্থ উপার্জন করে নিতে পারেন। আপনি জেনে অবাক হতে পারেন যে বর্তমান বিশ্বে ৫০ শতাংশ শিক্ষক অনলাইনে শিক্ষা দিচ্ছেন।

ভারতেও এর জনপ্রিয়তা রয়েছে অনেক বেশি। বর্তমানে আমাদের দেশেও এরকম বেশ কয়েকটি প্লাটফর্ম রয়েছে যেখানে অনলাইনে পড়ানো হয়ে। এর মধ্যে টেন মিনিট স্কুল অন্যতম।

আপনি তাদের থেকেও অনেক ধারনা নিতে পারেন। প্রথমে হয়তো বিভিন্ন বাধা বিপত্তি আসবে, ছাত্র খুজতে বেগ পেতে হবে, কিন্তু পরবর্তীতে অনেক সুবিধা পেতে পারেন এখানে থেকে।

5. ছবি বিক্রি করে টাকা ইনকাম

আমাদের বর্তমান জেনারেশনে স্মার্টফোন নেই এমন মানুষের সংখ্যা হাতে গণা। অনেকের কাছে আবার বিভিন্ন ধরনের ক্যামেরাও বিদ্যমান। আপনি চাইলে আপনার এই মোবাইলের মাধ্যমে খুব সহজেই অনেক অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

সেক্ষেত্রে আপনাকে শুধু বিভিন্ন আকর্ষণীয় জিনিসের ছবি তুলতে হবে। সেটা আপনি আপনা মোবাইল ফোন দিয়েও তুলতে পারেন আবার ক্যামেরা দিয়েও তুলতে পারেন।

তারপর চাইলে একটু এডিট করে অথবা “র” (Raw) ফাইলই বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আপলোড করে সেখান থেকে এক একটি ছবির জন্য ৫০ ডলার থেকে শুরু করে ৫০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারেন।

আপনি যদি অল্প সল্প ফটো এডিটিং জানেন, তাহলে এক্ষেত্রে অনেক সুবিধা লাভ করতে পারবেন। Photoshop, Illustrator ইত্যাদির মাধ্যমে ছবির আকর্ষণীয়তা অনেক ক্ষেত্রেই জানা বাড়ানো যায়।

অনলাইনে ছবি বিক্রির জন্য অনেক ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন আপনি। তার মধ্যে, Shutterstock, 500px, Envato ইত্যাদি খুবই জনপ্রিয় এবং সব থেকে বেশি পে করে থাকে ফটোগ্রাফারদেরকে।

ইন্ডিয়ার সন্দিপ মহেশ্বরীর কথা অনেকেই শুনে থাকবেন। এখন প্রত্যেকটা টেকনোলজি বিষয়ক সেমিনার বা স্টেজ সো-তে তিনিই প্রধান অতিথি থাকেন। তিনিই অন্যতম উদাহরন যে ফটোগ্রাফিকে নিজের পেশা হিসেবে নিয়েছিলেন ।

এই সেক্টরে তিনি ভীষণই সফল একজন মানুষ। তার নিজেরও ছবি বিক্রির একটি ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে দেশ বিদেশের ১০০০ এরও বেশি ফটোগ্রাফার কাজ করে থাকেন।

আপনি এইসব ওয়েবসাইট গুলো তে যে ছবি গুলো বিক্রি করবেন সেগুলো আবার ওই ওয়েবসাইট থেকেই বিভিন্ন মানুষ ক্রয় করে নিবে। এইসব ছবি গ্রাফিক ডিজাইনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। বিভিন্ন বইয়ের কাভারে, ব্যানারে, ফেস্টুনে এইসব ছবি বিক্রি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

6. এফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম

অনলাইনে  অন্যের প্রোডাক্ট বিক্রি করে কমিশন পাওয়ার মাধ্যমে আয় করা কে এফিলিয়েট মার্কেটিং বলে। কি কথা বোঝেন নি ? ওয়েট আমি একটি উদাহরন দিয়ে বিষয়টি ক্লিয়ার করে দিচ্ছি।

ধরুন আমার একটি থ্রি পিসের বিসনেস আছে , এখন আমি আপনাকে বললাম আপনি যদি আমার থ্রি পিস বিক্রি করে দেন । তবে আমি আপনাকে প্রতিটি থ্রি পিসের জন্য একটি নির্দিষ্ট পার্সেন্ট আপনাকে দেব। সেটা হতে পারে ৫% থেকে ৫০% পর্যন্ত ।

যদি একটি থ্রি পিসের দাম ৫০০ টাকা হয়  তাহলে প্রতি থ্রি পিস বিক্রিতে ১০% হিসেবে আপনি পাবেন ৫০ টাকা। এভাবে আপনি যত বেশী বিক্রি করতে পারবেন ততো বেশী ইনকাম করতে পারবেন ।

আপনি যদি অনলাইনে বেশি টাকা উপার্জন করতে চান এবং যদি পরিশ্রমী আর ধৈর্য্যশীল মানুষ হন, তাহলে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে,  কিভাবে কোন একটি কোম্পানির প্রোডাক্ট নিজের হাতে পাব এবং তা সেল করব?  এ প্রশ্নের  উত্তরটি হলো-  তারা আপনাকে কোন প্রোডাক্ট দেবে না। তারা আপনাকে যা দিবে সেটা হল প্রোডাক্টের একটি নির্দিষ্ট লিংক।
আমার বিসনেসের উদাহরনটা আবার দেই, আপনি যদি আমার থ্রি পিসের এফিলিয়েট মার্কেটিং করেন। তবে আমি আপনাকে কিন্তু সরাসরি আপনার হাতে থ্রি পিস ধরিয়ে দেব না আমি আপনাকে আমার ওয়েবসাইটে আমার থ্রি পিসের লিংকটা আপনাকে দেব।
আপনি এই লিংক বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়া বা অনলাইনে যেখানে মানুষ আছে যারা  থ্রি কিনতে পারে এরকম জায়গায় আপনি আমার থেকে পাওয়া থ্রি পিসের লিংকটি শেয়ার করবেন।
আর আপনার শেয়ার করা লিংক থেকে যদি কেই আমার থ্রি পিস কিনে তবেই আপনার লাভ আপনি পেয়ে যাবেন  আপনার নির্দিষ্ট কমিশন । এভাবে যত বেশী মানুষ আপনার লিংক থেকে প্রডাক্ট কিনবে ততো বেশী কমিশন আপনি পাবেন । আশা করি বুঝতে পেরেছেন ।

কিছু জনপ্রিয় এফিলিয়েট প্লাটর্ফম ২০২১ঃ
  • Amazon Associates. (সবচাইতে বেশী পরিচিত)
  • eBay Partners.
  • Shopify Affiliate Program.
  • Click-bank.
  • Awin
  • ShareAsale
  • CJ Affiliate
  • Rakuten Affiliate Network
  • Avangate ( 2Checkout )
  • LinkConnector
  •  RevenueWire

7. ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম

ফেসবুক তো আমরা সবাই চালাই তাই না ? কত সময় নষ্ট করি ফেসবুকে বন্ধুদের সাথে চ্যাটিং করে ভিডিও দেখে অযথা নিউজফিট স্ক্রল করে। কিন্তু আমরা যদি একটু সচেতন হই একটু কষ্ট করি তাহলে কিন্তু এই ফেসুবক থেকেই ভালোপরিমান টাকা ইনকাম করা যাবে। কি বিশ্বাস হচ্ছে না? চলুন অলোচনা করি কিভাবে ফেসবুক থেকে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করা যায়।

ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে আয়ঃ
ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে বা লাইভ করে টাকা ইনকাম করা যায় । ফেসবুকের এডব্রেকস সুবিধার মাধমে আপনি আপনার ভিডিও থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবনে।

আপনার অপলোড করা ভিডিওতে ফেসবুক বিভিন্ন কম্পানির এড বসাবে আর সেই এডে যদি কেউ ক্লিক করে তবে আপনি সেই অ্যাড থেকে আয়ের কিছু অংশ পাবেন। তবে এডব্রেকস সুবিধা পেতে আপনাকে কিছু শর্ত পুরুন করতে হবে।

যেমনঃ

১। হাজার ফলোয়ার থাকতে হবে।

২। শেষ ৬০ দিনে ১,৮০,০০০ মিনিট ভিউ হতে হবে এবং ৩০,০০০ মিনিট ভিউ হতে হবে ৩ মিনিটের বেশী ভিডিওতে।

৩। শেষ ৬০ দিনে ১৫,০০০ হাজার মানুষের নিকট আপনার পোস্ট পৌছাতে হবে।ৎ

লাইভ করে টাকা ইনকাম করতে চাইলে সে শর্ত সেটা হলোঃ

১। ভিডিও চার মিনিটের হতে হবে।

৪। ৩০০ জন মানুষ দেখতে হবে ।

এই শর্তগুলি পুরন হলেই আপনি এডব্রেকস সুবিধার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

8. গ্রাফিক্স ডিজাইন করে টাকা ইনকাম

আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখেও ঘরে বসে অনলাইন থেকে ভালো পরিমান টাকা ইনকাম করতে পারেন। অনলাইনে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে আপনি আপনার করা ডিজাইন গুলা রেখে দিবেন সেখান থেকে আপনার ডিজাইনগুলা বিক্রি হতে থাকবে আর আপনি ঘরে বসে শুধু টাকা গুনবেন! কি ব্যাপারটা মজার না?

ব্যাপারটা মজার হলেও গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে ঘরে বসে টাকা গোনা পর্যন্ত অনেক কিছুই করতে হবে। আপনার ভালো মানের একটা কম্পিউটার /ল্যাপটপ লাগবে ধৈর্য্য ও কঠর পরিশ্রমের মাধ্যমেই আপনি টাকা গুনতে পারবেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ আপনি প্রাথমিক অবস্থায় এডোবি ফটোশপ এবং ইলিস্ট্রটর দিয়ে শুরু করতে পারেন

গ্রাফিক্স ডিজাইনে সাধারনত যেসব কাজ করা হয়ঃ
  • ১। লগো ডিজাইন
  • ২। ব্যানার ডিজাইন
  • ৩। পোষ্টার ডিজাইন।
  • ৪। কভার ডিজাইন
  • ৫। ফটো ইডিটিং
  • সহ সকল প্রকার ডিজাইনা

গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে যেসব সাইট থেকে ইনকাম করতে পারবেনঃ
এরকম আরো অনেক সাইট আছে যেখান থেকে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজের ক্লায়েন্ট খুঁজে পেতে পারেন।

যেসব সাইটে আপনি আপনার ডিজাইন রেখে বিক্রি করতে পারবেন

9. ওয়েবসাইট তৈরি করে টাকা ইনকাম

বর্তমানে যে হারে মানুষ অনলাইনের দিকে ঝুকছে, সবাই এখন অনলাইনমুখি, কেনা কাটা, ব্যাবসা বানিজ্য, শিক্ষা চিকিৎসা, খাদ্য বস্ত্র সব কিছুই এখন অনলাইন বেইস হয়ে যাচ্ছে।

আর অনলাইন মানেই ওয়েব পেজ। ঠিক এই মুহুর্তে আমাদের যে লেখাগুলো পড়তেছেন এটাও একটা ওযেব পেজ। অর্থাৎ আপনি অনলাইনে যা কিছু দেখেন সবই ওয়েব পেজ। আর এরকম কতগুলি ওয়েব পেজ একত্র হয়েই হয় একটা ওয়েবসাইট।

এই যে আপনি এত সুন্দর সুন্দর ডিজাইনের নানা রঙের ওয়েব পেজ প্রতিদিন দেখতে পাচ্ছেন, এগুলা কি আপনা আপনিই তৈরী হয়েছে? নাকি এই পেজগুলা কেউ ডিজাইন করেছে?

অবশ্যই এই পেজগুলা কেউ না কেউ ডিজাইন করেছে। আর যিনি ডিজাইন করেছেন তিনি কি ফ্রি ফ্রিই একাজগুলা করেছে? মোটেও না।

বর্তমানে যেহেতু ব্যাপকহারে মানুষ অনলাইনের দিকে ঝুকছে আর অনলাইন মানেই যেহেতু ওয়েব পেজের সমষ্টি তাহলে আপনিই একটু বিশ্লেষণ করুন ওয়েব ডিজাইনার/ডেভেলপারদের চাহিদা কেমন। আর যার চাহিদা যত বেশী তার ডিমান্ডও ততো বেশী।

আপনার যদি কোডিং করার শখ থাকে ক্রিয়েটিভ কিছু করার ইচ্ছে থাকে আপনি যদি কঠর পরিশ্রমী হন, আপনি যদি অনলাইনে সম্মানের সাথে ঘরে বসে ভালো অংকের টাকা ইনকাম করতে চান তবে আপনার জন্য ওয়েব ডিজাইন ডেভেলপমেন্ট শিখা বেষ্ট।

তবে এক্ষেত্রে আমি সাজেষ্ট করি আপনার হাতে যদি মিনিমাম ২ বছর শেখার সময় থাকে তবেই আপনি ওয়েব ডিজাইন ডেভেলপমেন্ট শেখার জন্য পা বাড়ান, ২/৪/৬ বা ১ বছর সময় নিয়ে এই সেক্টরে ভালো কিছু শিখতে পারবেন না। তবে যারা এক্সট্রা ট্যালেন্ট তাদের কথা ভিন্ন।

10. ডাটা এন্ট্রি কাজ করে টাকা ইনকাম

ডাটা এন্ট্রি (Data Entry) হচ্ছে কম্পিউটারের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কোন ডাটা এক স্থান থেকে অন্য আরেক স্থানে ডাটা ইনপুট করা।

Data Entry গুলো হতে পারে কোন টেক্সট, কম্পিউটারের কোন একটি প্রোগ্রামের Data একটি Spreadsheet ফাইলে সংরক্ষণ করা, স্ক্যানিং ডকুমেন্ট, অডিও ফাইলগুলি প্রতিলিপি করা বা ইন্সুরেন্স ফর্মগুলি কোডিং অন্তর্ভুক্ত করা ইত্যাদি।
ডেটা এন্ট্রি ক্লার্ক হিসাবে কাজ করার জন্য আপনার বিশেষায়িত ডিগ্রি বা প্রশিক্ষণের প্রয়োজন নেই তবে সাধারণত আপনার হাই স্কুল ডিপ্লোমা এবং একজন টাইপার হতে হয়।

আপনি যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বা মার্কিন-ভিত্তিক ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করেন তবে আপনার ইংরেজি পড়তে পারা দরকার।

ডাটা এন্টির মাধ্যমে আয় করার জন্য বিভিন্ন মাধ্যম বা সোর্স রয়েছে।

আজ আমি এখানে কয়েকটি মাধ্যম নিয়ে আলোচনা করব যেগুলো ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে সহায়তা করবে এবং কাজ খুঁজার সোর্সের সন্ধান দেবে।

বিভিন্ন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের ডাটা এন্ট্রি করা
বর্তমানে পৃথিবীতে অনেক অনেক ওয়েবসাইট আছে। এসব ওয়েবসাইটগুলো বিভিন্ন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের ডাটা এন্ট্রি কাজের অ্যাড দেয়।

এসব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রি কাজ পাওয়া যায়। তেমনই একটি ওয়েবসাইট হলো Fiverr। এ ওয়েবসাইটে প্রতিদিন হাজার হাজার কাজ পাওয়া যায়, এসব কাজের মাঝে প্রচুর ডাটা এন্ট্রির কাজ রয়েছে।

আপনি যদি ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে চান তবে নিজের একটি একাউন্ট খুলে এখানে ডাটা এন্ট্রির কাজ খুঁজে নিতে পারেন। অনেকেই Fiverr এর সাহায্যে অনলাইনে ডাটা এন্ট্রির কাজ করে প্রচুর ইনকাম করছে। আপনিও Fiverr এ জয়েন করে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কাজ করতে পারেন।

Fiverr এ প্রতিটি কাজের জন্য আপনি কমপক্ষে 5 ডলার করে পাবেন। আপনি চাইলে এখান থেকে ডাটা এন্ট্রির কাজ করে মাসে 150 থেকে 200 ডলার ইনকাম করতে পারবেন।

All Upcoming Smartphone Price