টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে ২০২৩ । 10 টি উপায়

টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে ২০২৩

বন্ধুরা টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে ২০২৩ পোস্টে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। ঘরে বসে টাকা আয় করার জন্য বর্তমানে অনেকেই অনলাইনে টাকা আয় করার উপায় গুলি গুগল সার্চ করে থাকেন। 

মূলত নতুন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে এই প্রবনতা বেশি কাজ করে, তারা কোনটি প্রথমে শুরু করবেন কোনটি পরে শুরু করবেন। 
নতুন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য আমি আমার স্বল্প অভিজ্ঞতা থেকে (মাত্র 4 বছর হল আমি অনলাইন থেকে টাকা আয় করছি) সর্বোচ্চ চেষ্টা করব সঠিক পথ দেখানোর।

টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে ২০২৩ । 10 টি উপায়

বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীরা কিভাবে ঘরে বসে অনলাইন থেকে টাকা আয় করে নিজের খরচ জোগাড় করতে পারেন এই বিষয়ে সঠিক গাইডলাইন পাবেন এই পোস্টে।
বাংলাদেশে এমন অনেক সাইট রয়েছে যারা টাকার সম্পর্কে বলে কিন্তু সঠিক পথ প্রদর্শনের বেলায় তারা ভুল পথে প্রদর্শন করে ছাত্রদের। 

শুধু ছাত্র নয় বাংলাদেশের সকল শ্রেণীর মানুষ বর্তমানে অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে পারেন নিজের স্কিল ব্যবহার করে। 
পোস্ট সারসংক্ষেপ [বন্ধ করুন]

১০ টি টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে ২০২৩

1. এফিলিয়েট মার্কেটিং কি

What is affiliate marketing Affiliate marketing এমন একটি উপায় বা মাধ্যম যার দ্বারা আমরা যেকোনো অনলাইন কোম্পানির ডিজিটাল প্রোডাক্ট (Digital product), অনলাইন স্টোরের ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট (physical product) বা অনলাইন কিনতে পাওয়া যেকোনো জিনিস, নিজের ওয়েবসাইট, ব্লগ, সোশ্যাল মিডিয়া পেজ বা ইউটিউবের চ্যানেলে “এফিলিয়েট লিংক এর মাধ্যমে” প্রোমোট (promote) করতে পারি।

এবং,যখনি সেই প্রোমোট করা জিনিসটি আপনার দেয়া লিংকের মাধ্যমে গিয়ে লোকেরা কিনবেন বা প্রোমোট করা লিংকের মাধ্যমে PRODUCT এর official ওয়েবসাইটে গিয়ে অন্য কোনো product কিনবেন, তখন আপনাকে সেই প্রোডাক্টটি বিক্রি করানোর জন্য কিছু commission টাকা দেয়া হয়।

এই আয় করা কমিশনের রাশি অন্য অন্য প্রোডাক্ট এর ওপর আলাদা আলাদা হোতে পারে। কমিশনের রাশি বা আপনাকে কত টাকা কমিশন দেয়া হবে, সেটা “আপনি জে অনলাইন ওয়েবসাইট এর প্রোডাক্ট প্রোমোট বা শেয়ার করছে একজন এফিলিয়েট হিসেবে সেই অনলাইন ওয়েবসাইট কোম্পানি নির্ধারিত বা ঠিক করবে। এমনিতে, সবটাই আপনাকে আগের থেকেই ডিটেইলসে বলে দেয়া হয়।

2. এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি জানার পরে আপনার মনে অবশ্যই প্রশ্ন জাগছে এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব?  এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করা অনেক সহজ যদি আপনি সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। আপনাকে অবশ্যই  মার্কেটিং সম্পর্কে ভালো ধারণা নিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের কাজ শুরু করতে হবে। নতুবা আপনার এফিলিয়েট মার্কেটিং দুনিয়াতে টিকে থাকা বড় কঠিন হয়ে পড়বে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কাজ করার প্রথম ধাপ হচ্ছে এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এ সাইন আপ করা। এরপর আপনি যে পন্য বা সেবা গুলো বিক্রয় করতে পারবেন অথবা আপনি যে পন্য বা সেবা সম্পর্কে ভালো ধারণা আছে সে সকল পন্য বা সেবা নির্বাচন করবেন।

3. ড্রপ শিপিং কি

যারা নতুন শুনেছেন তাদের কাছে ব্যাপারটি কিছুটা কঠিন মনে হতে পারে। তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই। একেবারে নতুনেরাও যাতে ব্যাপারটি বুঝতে পারেন ঠিক সেভাবেই আজকের আর্টিকেলটিকে সাজানো হয়েছে। সুতরাং সোজা কথায় কারো কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে তা সাপ্লায়ারের কাছ থেকে কেনার পাশাপাশি অর্ডারকারীকে পন্যটি সরবরাহ করাই আসলে ড্রপশিপিং ব্যবসা।

এক্ষেত্রে আপনাকে নিজের স্টোরে  প্রোডাক্টের ইনফো অর্থাৎ আপনাকে আপনার পন্যের সকল বিস্তারিত রাখতে হবে। এরপর কাস্টমার যদি আপনার স্টোরে ঢুকে সেই প্রোডাক্টটি কিনতে অর্ডার করে তখন আপনি একজন সাপ্লায়ারের নিকট থেকে উক্ত পন্যটি কিনে কাস্টমারকে ডেলিভারি করবেন। মূলত এই প্রসেসটিই হলো ড্রপশিপিং। এই সেক্টরে কিন্তু লসের চাইতে লাভের পরিমাণ বেশি। সুতরাং আপনিও চাইলে শুরু করতে পারেন। dropshipping in bangladesh এই বিষয়ে আর বিস্তারিত জানতে আমাদের সাথেই থাকুন ।

4. কিভাবে ড্রপসিপিং শুরু করবেন

ড্রপশিপিং কীভাবে কাজ করে?
ড্রপশিপিংড্রপশিপিং করতে হলে আপনাকে আগে সাপ্লায়ার/উৎপাদনকারীর সাথে একটা চুক্তি করে নিতে হবে। যার ফলে আপনার নিজের কাছে পণ্য না থাকলে অর্ডার আসলে নির্দিষ্ট পণ্য সরাসরি কাস্টমারের কাছে পণ্য পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। সাপ্লায়ার/উৎপাদনকারীর যে পণ্যগুলো নিয়ে আপনি কাজ করতে চাইছেন সেসব পণ্য সাজিয়েছে আপনাকে একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে হবে (যেখানে কাস্টমার সেসব পণ্যের অর্ডার করতে পারবে)।

যখনই আপনার সেই ই-কমার্স ওয়েবসাইটে কোনো কাস্টমার অর্ডার আসবে তখনই আপনি সেই অর্ডার ডিটেইলস আপনার আগে থেকে ঠিক করা সাপ্লায়ার/উৎপাদনকারীকে জানিয়ে দিবেন। তারা সেই প্রোডাক্ট প্যাকেজ করে কাস্টমারের কাছে পাঠিয়ে দিবে। তবে এক্ষেত্রে আপনার কোম্পানির নাম এবং কোম্পানির লোগোই ব্যবহৃত হবে।

কিভাবে ড্রপশিপিং বিজনেস শুরু করবেন

ড্রপশিপিং করতে শুরুতেই যেটি প্রয়োজন সেটি হলো দোকান/স্টোর। যেখানে আপনি আপনার পণ্যের ডিটেইলস সাজিয়ে রাখবেন এবং যেখান থেকে কোনো গ্রাহক আপনার সেই সাজানো প্রোডাক্ট অর্ডার করবে৷ 

যারা সরাসরি নিজেরাই ই-কমার্স ওয়েবসাইটের ব্যবস্থা করতে পারবেন তারা নিজেরাই সেই ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ শুরু করে দিতে পারবেন। কিন্তু যারা রেডি দোকান নিতে চান তারা একটি কাজ করতে পারেন। সেটি হলো Shopify নামে একটি রেডি দোকান রয়েছে এবং তা ভাড়া নিয়ে নেওয়া। যদিও এর খরচ তুলনামূলক বেশিই বলা চলে। তবে আমার মতে ১ বছরে Shopify কোম্পানিকে আপনি যে ভাড়া দিবেন, এই টাকা দিয়ে আপনি একটি E-Commerce ওয়েবসাইট তৈরি করে কাজ করলে অনেক বেশি সুযোগ সুবিধা পাবেন এবং বাড়তি ইনকাম ইজিলি জেনারেট করতে পারবেন।

মোটামুটি কমপ্লিট ড্রপশিপিং ব্যবসা শুরু করতে আপনাকে যে যে বিষয়গুলি নিশ্চিত করতে হবে সে বিষয়গুলি হলোঃ- 
ডোমেইনের ব্যবস্থা করা
হোস্টিংয়ের ব্যবস্থা করা

5. অনলাইন টিউশন করে ঘরে বসে আয় করুন

বর্তমানে ব্যস্ত জীবনযাত্রায় যখন মা-বাবা তার ছেলে সন্তান কে পড়াশোনা করার সুযোগ দিতে পারছেনা, ঠিক তখন কোচিং সেন্টার অথবা টিউশন ব্যাপকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে অনলাইন সুবিধা প্রদানের ফলে ইন্টারনেটে কোচিং বা টিউশন সাইটগুলো অনেক বেশি বাস্তবসম্মত ও রিয়ালিস্টিক হয়ে গিয়েছে।

কারা কাজটি করতে পারেন

যারা শেখাতে ভালোবাসে অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের ভালো শেখাতে পারে বা কাউকে খুব ভালো করে বুঝাতে সক্ষম, তাদের জন্যই এই বিষয়টি উপযুক্ত।

কি ধরনের দক্ষতা প্রয়োজন হয়

যে কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে আপনাকে পারদর্শী হতে হবে। যেমন ধরুন, গণিত, বিজ্ঞান, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং অথবা অন্যান্য বিষয় যেগুলো আছে সেগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি বিষযয়ে আপনাকে অবশ্যই পারদর্শী হতে হবে।1
এছাড়া আপনি যে বিষয়ে সেখানে  টিউশন করতে চাইছেন সে বিষয়ের উপর নিজস্ব ডিগ্রী, অন্ততপক্ষে কলেজ ডিগ্রী থাকা প্রয়োজন। আর যদি অন্যান্য ডিগ্রি বা শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকে তাহলে আপনার জন্য বিষয়টি সহজ হয়ে দাড়াবে।

অনলাইন টিউটরদের জন্য অনলাইনে শিক্ষা দেওয়ার ব্যাপারে যদি এক্সপেরিয়েন্স থাকে, তাহলে এটি একটি প্লাস পয়েন্ট। যদি এক্সপেরিয়েন্স না থাকে তাহলে কোন সমস্যা নেই।

কিভাবে টিউশন শুরু করবেন

প্রথম এবং সবচেয়ে ভালো উপায় হলো, আপনাকে অনলাইন টিউশনি যে সাইট গুলো আছে সেগুলো তো সব সময় ভ্রমণ করতে হবে, মানে ভিজিট করতে হবে। সে সকল সাইটে শিক্ষার্থীরা আপনার প্রোফাইলের উপরে সাইন করবে অর্থাৎ আপনার পড়াশোনা নেওয়ার জন্য বা আপনার কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়ার জন্য সাইন আপ করবে। যখন আপনার প্রোফাইলটা একটি সমৃদ্ধ প্রোফাইল এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার লেভেলও ভালো হবে তখন আপনি টিউসন শুরু করতে পারেন।
আপনার প্রোফাইলে অনলি টিউশন করার একটি নিজস্ব শিডিউলে শিক্ষার্থীরা আপনার কাছে অনলাইন ক্লাস করতে আসবে।

ফত্যাশিত আয়

আপনি প্রতি ঘন্টা টিউশন এর জন্য অনলাইন সাইটগুলোতে 9 ডলার থেকে শুরু করে 40 ডলার পর্যন্ত টাকা আয় করতে পারবেন। এটা আপনার অভিজ্ঞতা এবং ব্যক্তি খ্যাতির উপর নির্ভর করবে।
যদি আপনি একজন সার্টিফাইড টিচার হন তাহলে আপনার আয় অনেক বেশি হবে!

5. ওয়েবসাইট ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট শিখে কিভাবে আয় করা সম্ভব

বর্তমান সময়ে Freelancing প্লাটফর্মে Web Design এবং Web Development হলো সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি সেক্টর। কারন সময় যতো অতিবাহিত হচ্ছে। নতুন নতুন ওয়েবসাইট তৈরি করার চাহিদা ততো বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

আর সে কারনে বর্তমান সময়ে একজন সৃজনশীল ওয়েব ডিজাইনার কিংবা ডেভলপার এর যথেষ্ট পরিমান চাহিদা রয়েছে। সেজন্য ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ওয়েব ডিজাইনে দক্ষতা সম্পন্ন ফ্রিল্যান্সার কে অনেক হাই রেটে হায়ার করা হয়ে থাকে। 

তবে আমাদের মধ্যে যে মানুষ গুলো ওয়েব ডিজাইন নিয়ে কাজ শিখছেন। সে মানুষ গুলোর মনে একটি প্রশ্ন বারবার ঘুরপাক খেয়ে থাকে। আর সেটি হলো, ওয়েবসাইট ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট শিখে কিভাবে আয় করা সম্ভব।

তো আপনি যদি Web Design & Development নিয়ে কাজ শিখে থাকেন৷ এবং আপনি যদি এই কাজে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। তাহলে আপনি আপনার এই দক্ষতা কে কাজে লাগিয়ে। ফ্রিল্যান্সিং করে প্রচুর পরিমান টাকা আয় করতে পারবেন। 

6. ব্লগার থেকে টাকা আয় করার উপায়

ব্লগার থেকে টাকা আয় করার উপায় খুঁজছেন! এখন আমরা যেহেতু ব্লগ থেকে টাকা আয় করার উদ্দেশ্যেই ব্লগিং শুরু করি, তখন এই চিন্তা আসাটা অস্বাভাবিক নয়। একটা সময় ছিলো যখন একজন ব্লগার শুধুমাত্র নিজের শখের বসে ব্লগে লেখালেখি করতো। কিন্তু এখন সময় বদলেছে। ব্লগ এখন শখ নয়, পেশা হিসেবে নিচ্ছে সবাই, অর্থাৎ ব্লগ তৈরি করে আয় করাই প্রধান উদ্দেশ্য।

ব্লগ তৈরি করে আয় করার জন্য ব্লগার থেকে টাকা আয় করার উপায়, ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়, ব্লগ থেকে কি ধরনের আয় হয় এই প্রশ্নগুলোও প্রতিদিন অনেক নতুন ব্লগারের মনে আসছে।

যখন শখের বসে ব্লগিং করতো, তখন না মানুষ এতো সময় দিতো, আর না এতো রিসার্চ করে লিখতে হতো। কিন্তু যখন থেকে ব্লগিং করে টাকা আয় করার সুযোগ হয়েছে, তখন থেকে কষ্টও বেড়েছে। তবে সবাই কষ্টের মিষ্টি ফলটা পাচ্ছেনা।

অনেকে ব্লগ থেকে কত উপায়ে ইনকাম করা যায়, তা না জানার কারণে আয় করতে পারছেননা। আবার অনেকের ভিজিটরস না থাকায় করতে পারতে পারছেনা।
দ্বিতীয় সমস্যা অর্থাৎ ব্লগে ভিজিটরস বৃদ্ধি করার উপায় এবং কিভাবে ট্রাফিক ধরে রাখা যায়, তার জন্য ইতিমধ্যে অনপেজ এসইও এবং আর্টিকেল লেখার নিয়ম নিয়ে আলোচনা করেছি।

ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করা যায়

ব্লগার থেকে টাকা আয় করার উপায় – সেরা ১০ টি
১. বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক থেকে আয়
২. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
৩. ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি
৪. অনলাইন কোর্স তৈরি করে আয়
৫. লোকাল বিজ্ঞাপন
৬. গেস্ট ব্লগিং
৭. পেইড রিভিউ
৮. অনলাইন সার্ভিস
৯. পেইড আর্টিকেল
১০. অনলাইন শপ

ব্লগিং এবং ইনকামের সাথে একটি কথা প্রচলিত আছে, ট্রাফিক ইকুয়াল টু উপার্জন। অর্থাৎ ব্লগ থেকে আয় করার জন্য ব্লগে ট্রাফিক আসতে হবে।
সহজভাবে বলা যায়, আপনি একটি এলাকায় অনেক সুন্দর দোকান দিলেন, প্রচুর পোডাক্ট রাখলেন, সার্ভিসও ভালো। কিন্তু সমস্যা হলো দোকানে কাস্টমার আসছেনা। তাহলে কি ইনকাম হবে?

এখন প্রশ্ন হলো, এতকিছু করার পরও কেন ক্রেতা আসছেনা? এর পিছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। প্রধান দুইটি কারণ হলো-

আপনার নতুন দোকান সম্পর্কে এলাকার লোকজন জানেনা।
আপনার দোকানে যেসব জিনিস রয়েছে, তার চাহিদা এলাকার লোকজনের নেই।
এখন এই দুইটি কারণকে আমরা যদি ব্লগিং এর সাথে সম্পর্ক করি, তাহলে ভিজিটরস না আসার প্রথম কারণ হিসেবে এসইও এবং মার্কেটিং’কে দায়ী করা যায়।

অর্থাৎ, আপনার ব্লগ গুগলে যদি ভালো অবস্থান তৈরি করতে না পারে, সোশ্যাল মিডিয়ায় এঙ্গেজমেন্ট বৃদ্ধি করা না যায় তাহলে লোকজন জানতে পারবেনা। ফলাফল! ট্রাফিক না পাওয়া।
তাহলে করণীয় কী? ব্লগে নিয়মিত এসইও অপটিমাইজড আর্টিকেল পাবলিশ করা।

দ্বিতীয় কারণ, আপনি এমন কোনো টপিকে ব্লগ তৈরি করলেন যার জন্য সেরকম কোনো ট্রাফিক আসলেই নেই। তাহলে ভিজিটরস পাওয়ার আশা করাই ঠিক নয়। আপনার প্রয়োজন না হলে নিশ্চয়ই শুধু সার্চ করবেননা!

তাহলে সমাধান কী? সমাধান হলো এমন ব্লগ টপিক বাছাই করা, যে বিষয়ে প্রচুর ট্রাফিক রয়েছে। একইসাথে প্রতিটি আর্টিকেল লেখার আগে কিওয়ার্ড রিসার্চ করে ভালো সার্চ ভলিয়্যুম যুক্ত কিওয়ার্ড বাছাই করা।

6. কন্টেন্ট রাইটিং কি

কন্টেন্ট রাইটিং করে আয় করার উপায়
কন্টেন্ট রাইটিং হলো পেশাদার মার্কেটিং এর জন্য এক ধরনের কন্টেন্ট  তৈরি করার কাজ যা নির্দিষ্ট অনলাইন বা অফলাইন পাঠকদের জন্য প্রকাশ করা হয়। কন্টেন্ট রাইটিং অনেকের কাছে আর্টিকেল রাইটিং নামেও পরিচিত।

কন্টেন্ট রাইটিং প্রায় সকলের কাছে পরিচিত শব্দ হলেও অনেকেই আমরা কন্টেন্ট রাইটিং কি সেসম্পর্কে বিস্তারিতভাবে খুব কমই জানি। তবে কন্টেন্ট রাইটিং করে আয় করার উপায় তৈরি হওয়ার পর থেকে মানুষ এসম্পর্কে জানতে আগ্রহ দেখাচ্ছে।

কখনো কি কেউ চিন্তা করেছিল যে বই প্রকাশ না করে বিভিন্ন ছোট ছোট কন্টেন্ট লিখেও আয় করা সম্ভব হবে? মনে হয় না। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে তত বেশি বদলে যাচ্ছে পৃথিবী, বদলে যাচ্ছে মানুষের জীবনভঙ্গী এবং সেইসাথে কাজের বিস্তৃতি।

বর্তমানের স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, কর্মজীবী মানুষ সবাই এখন কাজের পাশাপাশি বাড়তি আয় করতে চায়। আর তাদের জন্য চমৎকার একটি কাজ হলো কন্টেন্ট রাইটিং।

তাই কন্টেন্ট রাইটিং এ ক্যারিয়ার যারা গড়তে চান তাদের জন্যই আজকের গাইডলাইন, যেখানে কন্টেন্ট রাইটিং কি, কিভাবে কন্টেন্ট রাইটার হওয়া যায়, রাইটার এর কাজ, যোগ্যতা, প্রয়োজনীয় দক্ষতা এবং কন্টেন্ট রাইটিং করে আয় করার উপায় সহ প্রয়োজনীয় সকল তথ্য নিয়ে আলোচনা করবো ইন-শা-আল্লাহ।

  • কন্টেন্ট কি | What is Content?
  • কন্টেন্ট রাইটিং কি | What is Content Writing?
  • কন্টেন্ট রাইটিং কত প্রকার?
  • অফলাইন কন্টেন্ট রাইটিং
  • অনলাইন কন্টেন্ট রাইটিং
  • কন্টেন্ট রাইটার এর কাজ কি?
  • কন্টেন্ট রাইটিং এর সুবিধা

কন্টেন্ট রাইটার হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা
১. শিক্ষাগত যোগ্যতা
২. বয়স
৩. ইংরেজি দক্ষতা
৪. গ্রামার
৫. কম্পিউটার টাইপিং
কন্টেন্ট রাইটিং এর নিয়ম
কন্টেন্ট রাইটিং এর ভবিষ্যত কেমন?
কন্টেন্ট রাইটিং কিভাবে শিখবো?
কন্টেন্ট রাইটিং করে কত টাকা আয় করা যায়?
কন্টেন্ট রাইটিং জব কোথায় খুঁজবেন?
১. ফেসবুক গ্রুপ
২. ফেসবুক জব
৩. চাকরির সংবাদপত্র
৪. বিভিন্ন পত্রিকা
৫. ব্লগ

কন্টেন্ট রাইটিং কি

What is Content Writing?
কন্টেন্ট রাইটিং হলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা, রচনা ও ওয়েব কন্টেন্ট সম্পাদনার প্রক্রিয়া।

সহজ কথায়, কন্টেন্ট রাইটিং হলো অর্থপূর্ণ, সহায়ক, এবং অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ বার্তাগুলোর মাধ্যমে পাঠকদের পদক্ষেপ নিতে ইনফ্লুয়েন্স করা।

যদিও বেশিরভাগ লোকজন কন্টেন্ট রাইটিং বলতে আর্টিকেল রাইটিং বুঝে থাকেন। তবে ব্লগ পোস্ট, আর্টিকেল, ভিডিও স্ক্রিপ্ট, পডকাস্ট কিংবা অন্য কোনো প্লাটফরম যেমন টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুকের জন্য তৈরি কন্টেন্টও কন্টেন্ট রাইটিং এর অন্তর্ভুক্ত।
প্রকৃতপক্ষে, কন্টেন্ট রাইটিং সকল ধরণের কন্টেন্ট ফর্ম্যাটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, 
যেমন:

ভিডিও স্ক্রিপ্ট
ইমেল নিউজলেটার
মূল বক্তব্য
সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট
পডকাস্ট
ওয়েব কন্টেন্ট
ল্যান্ডিং পেজ
ইউটিউব ভিডিও ডেস্ক্রিপশান
কন্টেন্ট রাইটিং কত প্রকার?

মিডিয়ার উপর ভিত্তি করে কন্টেন্ট রাইটিংকে প্রধাণত দুই ভাগে ভাগ করা হয়:

অফলাইন কন্টেন্ট রাইটিং, এবং
অনলাইন কন্টেন্ট রাইটিং
অফলাইন কন্টেন্ট রাইটিং

যখন কোনো পত্রিকা কিংবা ম্যাগাজিনে আর্টিকেল লিখবেন বা বই লিখবেন সেটা হবে অফলাইন কন্টেন্ট রাইটিং। এই রাইটিং করতে কোনো প্রকার ইন্টারনেট কিংবা অন্য কিছুর প্রয়োজন নেই। কেবল মাত্র খাতায় লিখে কোম্পানির কাছে পাঠিয়ে দিবেন, তারা আপনার লেখাকে প্রকাশ করবে।

অনলাইন কন্টেন্ট রাইটিং

অনলাইন প্লাটফর্মে প্রকাশিত কন্টেন্ট যা ইন্টারনেট ব্রাউজ করে দেখা, পড়া কিংবা শোনা যায়, সেসব কন্টেন্ট রাইটিংকে অনলাইন কন্টেন্ট রাইটিং বলা হয়।

ব্লগিং এর বদৌলতে বর্তমানে অনলাইন প্লাটফর্মগুলোতে লেখা প্রকাশ করা বেশ সহজ হয়েছে। তাছাড়া অফলাইন নির্ভর কোম্পানিগুলোও অনলাইনে আসায় দিন দিন এই মাধ্যমই বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

7. প্রুফ রিডিং (Proofreading )

প্রুফ (Proofreading) রিডিং কি? প্রুফ রিডিংয়ের নিয়ম এবং প্রয়োজনীয়তা

প্রুফ রিডিং (Proofreading) কি

প্রুফ (Proof) ইংরেজি শব্দ। এর অর্থ প্রমান। আর Reading মানে পড়া বা পাঠ করা। মূলতঃ গ্রন্থ, পুস্তিকা, পত্রিকা, ম্যাগাজিন বা যে কোনাে কম্পােজে বা লেখায় বিদ্যমান ত্রুটি দূর করে লেখা নির্ভুল করে তোলার জন্য সেই লেখাটি সংশোধন করে নেয়ার জন্য পুনঃপাঠকেই প্রুফ রিডিং (Proofreading) বলে। প্রুফ রিডিং (Proofreading) করতে হলে লেখাটি পড়তে হয় এবং এর পাঠক বা Proofreading এর দায়িত্বপালনকারী ব্যক্তিকে প্রমিত বা মান ভাষা সম্পর্কে সম্যক অবগতি রাখতে হয়।

গ্রন্থ রচনা, প্রকাশনা বা কম্পিউটারের ব্যাপক ব্যবহারের ফলে যারা কম্পােজের সঙ্গে যুক্ত, প্রুফ-সংশােধন তাদের জন্য একটি অত্যাবশ্যক বিষয়। প্রুফ-সংশােধনের সময় আধুনিক প্রমিত বানানরীতি ও শব্দচয়ন সম্পর্কে ধারণা না থাকলে প্রুফরিডিং বা সংশােধনের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হতে পারে। কম্পােজার অথবা যিনি প্রুফ-সংশােধন করেন উভয়ের কাছে ত্রুটিমুক্ত বা প্রমিত শব্দ বা বানান সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। 

ফলে মুদ্রিত গ্রন্থ বা copy-টি ভুলভ্রান্তি পূর্ণভাবে পাঠকের হাতে চলে যেতে পারে। পাঠক এমন লেখা পড়ে লেখক, প্রকাশক, প্রুফ-সংশােধক সবার প্রতি ভুল ধারণা নেয়া খুবই স্বাভাবিক। এর ফলে অক্ষরে ছাপা লেখার অনেক ভুল ও ত্রুটিযুক্ত বিষয় ছড়িয়ে পড়তে পারে সর্বত্র। সে কারণেই লেখক, প্রকাশক, কম্পােজার এবং যিনি প্রুফ দেখবেন— সকলেরই প্রুফ দেখার নিয়ম সম্পর্কে যথার্থ ধারণা থাকা একান্তভাবে উচিত।

প্রুফ রিডিং (Proofreading) এর বৈশ্বিক নিয়মঃ
প্রুফ-সংশােধনের কাজটি পৃথিবীর প্রায় সব দেশে একই নিয়মেই করা হয়। ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে Indian Standards Institution প্রকাশনার সুবিধার্থে প্রুফ-সংশােধনের নিয়মাবলি নির্ধারণের জন্য একটি কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি প্রুফ' বা লেখা সংশােধনে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নিয়মকানুন বিচার-বিশ্লেষণ করে আধুনিক ও যুগােপযােগী একটি সর্বভারতীয় নিয়মাবলি (Proof Corrections for Printers and Authors) প্রণয়ন করেন। বলা যায়, পরবর্তীকালে এটিই প্রুফ রিডিং (Proofreading) এর বৈশ্বিক নিয়মে পরিণত হয়। আমাদের দেশেও বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় সামান্য কিছু রদবদল করে সর্বভারতীয় নিয়মকেই অনুসরণ করা হয়।

প্রুফ রিডিংয়ে যে বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখতে হয়ঃ

মুদ্রিত কোনাে কিছু (যেমন- খবরের কাগজ, পত্র-পত্রিকা, বই, অভিধান, গল্প, উপন্যাস, নাটক, কবিতা ইত্যাদি) কারও সামনে উপস্থাপন করার পূর্বে তা প্রেসে বা কম্পিউটারে ছাপিয়ে নিতে হয়। প্রেসের কম্পােজিটর (বর্তমানে কম্পিউটার অপারেটর) মেশিনের অক্ষরে তা আবার লেখেন। লেখার পর কাগজে ছাপ তােলেন। এ ছাপ তােলার কাগজটিই হলাে প্রুফ। অর্থাৎ লেখকের লেখার একটি প্রমাণ বা প্রুফ (Proof) । 

কম্পােজিটর মেশিনে লেখার সময় লেখকের লেখা হুবহু লিখেছেন কি না তা মূল লেখকের লেখার সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে হয়। তখন যদি লক্ষ্য করা যায় কম্পােজিটর কিছু অংশ বাদ দিয়েছেন, কিংবা বানানে ভুল করেছেন, অথবা হস্তাক্ষর না বুঝতে পেরে অন্য শব্দ কম্পােজ করেছেন, তখন ওইসব ত্রুটি সংশােধন করাই প্রুফ-সংশােধনের কাজ। প্রকাশক মহলে Proof এর বাংলা ‘মুদ্রণিকা’ যা থেকে মুদ্রণ করা হয়। সুতরাং প্রুফ-সংশােধন অর্থ- মুদ্রণিকা সংশােধন।

বাংলা ভাষায় প্রুফ রিডিংয়ে যেসব বিষয়ে জ্ঞান থাকতে হয়ঃ

শুধু কম্পােজিটর বা কম্পোজ যিনি করে থাকেন, সোজা বাংলায় বললে, লেখাগুলো যিনি ছাপার অক্ষরে কম্পিউটারে টাইপ বা কম্পোজ করে থাকেন, তিনিই ভুল করেন - বিষয়টি এমন নয়; বরং পাণ্ডুলিপিতে স্বয়ং মূল লেখকও তথ্য-উপাত্ত, বানান, শব্দ বা বাক্য গঠন ইত্যাদিতে ভুল করতে পারেন। কাজেই Proof-reader বা প্রুফ সংশোধনকারী ব্যক্তিকে শুধু কম্পােজিটরের ভুল সংশােধন করলেই চলে না, সেই সঙ্গে লেখকের তত্ত্ব, তথ্য, বাক্য, শব্দ-বিন্যাস ইত্যাদিতে ত্রুটি থাকলে তা-ও সংশোধন করতে হয়। বাংলা ভাষায় প্রুফ রিডিংয়ের ক্ষেত্রে সমাস-সন্ধি, ণত্ববিধান, ষত্ববিধান ইত্যাদি সংশ্লিষ্ট সমস্যার নিরসনেও তাকেই মনযোগ দিতে হয়।

প্রুফ-সংশোধনের প্রয়োজনীয়তাঃ

প্রুফ সংশােধনের প্রয়ােজনীয়তা যে অপরিসীম এই কথাটি বুঝিয়ে বলার সম্ভবতঃ প্রয়োজন হয় না। কারণ, পত্র পত্রিকা, ম্যাগাজিন বা গ্রন্থে যদি তত্ত্ব, তথ্য কিংবা বানান ইত্যাদিতে ভুল থাকে তাহলে অগণিত পাঠকের হাতে পৌঁছাতে পারে ভুলভ্রান্তিযুক্ত লেখা, এর ফলে এই ভুলগুলোই তারা পাঠ করার ফলে তাদের জ্ঞানলাভে থেকে যেতে পারে ত্রুটি- যা নিঃসন্দেহে মারাত্মক একটি ব্যাপার। কাজেই নির্ভুল জ্ঞানলাভের প্রয়োজনে পত্র পত্রিকা, ম্যাগাজিন বা গ্রন্থ যা-ই হোক না কেন, তা নির্ভুলভাবে প্রকাশ করা অতীব জরুরি। আর নির্ভুল বই পত্র ছাপার পূর্বশর্ত হলাে প্রুফ কপির মধ্যে কোনাে ভুল না থাকা।

অন্যদিকে যদিও কোন লেখকের পাণ্ডুলিপির যথাযথ কম্পােজ হওয়া/ না-হওয়া যাচাই করাই গ্রুফ সংশােধন, তবু আরও কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখার মত রয়েছে, যেমন- বই হােক বা পত্রিকা, যা-ই হােক, মুদ্রিত কোনাে লেখা জনসাধারণ্যে প্রকাশ পেলে প্রশাসনিক, সামাজিক, ধর্মীয় বহু ক্ষেত্রে তার বিস্তৃতি ঘটে এবং ত্রুটি-বিচ্যুতির জন্য ছাপাখানা আইন (Press Act) -এর আমলযােগ্য অপরাধের আওতাভুক্ত হতে পারে। কাজেই প্রুফ-সংশােধনের সময় এসব বিষয়ও বিবেচনায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

প্রুফ-সংশোধনের সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হয়

প্রুফ-সংশােধনের সময় সংশােধকের সাবধান হওয়া একান্ত দরকার। লেখকের সম্পর্কে বলা হয়- ‘কালি-কলম-মন, লেখে তিনজন'। কিন্তু প্রুফ-সংশােধকের বেলায় চোখ ও মনের সংযােগ, সেই সঙ্গে জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতা একান্ত প্রয়ােজন। কোনাে শব্দের ওপর নজর পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে বানানটি ঠিক কি না, এ বাক্যে শব্দটির প্রয়ােগ যথার্থ হয়েছে কি না ইত্যাদি। প্রুফসংশােধকের আরেকটি বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে, একজন প্রুফ-সংশােধক যা পড়বেন (বই, খবরের কাগজ যেটিই হােক), সেখানে কয়টা ভুল হয়েছে তা যেন তার চোখ এড়িয়ে না যায়।

প্রুফ-সংশোধনের নিয়ম

প্রুফ-সংশােধনের সময় ভুলকে চিহ্নিত করা এবং সেটি সংশােধন করাই আসল কাজ; তবে জানার ঘাটতির জন্য অনেক সময় শুদ্ধটাও সংশােধিত হয়ে অশুদ্ধ হয়ে যেতে পারে। কম্পােজের সময় কোনাে জায়গায় অতিরিক্ত বর্ণ, শব্দ, বাক্য কম্পােজ হয়। আবার কখনাে বর্ণ, শব্দ, বাক্য বাদও পড়ে যায়। বানানের ভুল তাে থাকেই। কিছু সাংকেতিক চিহ্ন আছে যা ব্যবহার করে সংশােধনের নির্দেশ দেওয়া হয়। সাংকেতিক চিহ্ন না জানলে ভুলটি অন্যত্র শুদ্ধ করে লিখে টেনে দিলেও কাজ চলে।

8. প্রুফ (Proofreading) রিডিং কি

প্রুফ রিডিংয়ের নিয়ম এবং প্রয়োজনীয়তা
প্রুফ রিডিং (Proofreading) কি?
প্রুফ (Proof) ইংরেজি শব্দ। এর অর্থ প্রমান। আর Reading মানে পড়া বা পাঠ করা। মূলতঃ গ্রন্থ, পুস্তিকা, পত্রিকা, ম্যাগাজিন বা যে কোনাে কম্পােজে বা লেখায় বিদ্যমান ত্রুটি দূর করে লেখা নির্ভুল করে তোলার জন্য সেই লেখাটি সংশোধন করে নেয়ার জন্য পুনঃপাঠকেই প্রুফ রিডিং (Proofreading) বলে। প্রুফ রিডিং (Proofreading) করতে হলে লেখাটি পড়তে হয় এবং এর পাঠক বা Proofreading এর দায়িত্বপালনকারী ব্যক্তিকে প্রমিত বা মান ভাষা সম্পর্কে সম্যক অবগতি রাখতে হয়।

গ্রন্থ রচনা, প্রকাশনা বা কম্পিউটারের ব্যাপক ব্যবহারের ফলে যারা কম্পােজের সঙ্গে যুক্ত, প্রুফ-সংশােধন তাদের জন্য একটি অত্যাবশ্যক বিষয়। প্রুফ-সংশােধনের সময় আধুনিক প্রমিত বানানরীতি ও শব্দচয়ন সম্পর্কে ধারণা না থাকলে প্রুফরিডিং বা সংশােধনের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হতে পারে। কম্পােজার অথবা যিনি প্রুফ-সংশােধন করেন উভয়ের কাছে ত্রুটিমুক্ত বা প্রমিত শব্দ বা বানান সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। 

ফলে মুদ্রিত গ্রন্থ বা copy-টি ভুলভ্রান্তি পূর্ণভাবে পাঠকের হাতে চলে যেতে পারে। পাঠক এমন লেখা পড়ে লেখক, প্রকাশক, প্রুফ-সংশােধক সবার প্রতি ভুল ধারণা নেয়া খুবই স্বাভাবিক। এর ফলে অক্ষরে ছাপা লেখার অনেক ভুল ও ত্রুটিযুক্ত বিষয় ছড়িয়ে পড়তে পারে সর্বত্র। সে কারণেই লেখক, প্রকাশক, কম্পােজার এবং যিনি প্রুফ দেখবেন— সকলেরই প্রুফ দেখার নিয়ম সম্পর্কে যথার্থ ধারণা থাকা একান্তভাবে উচিত।

প্রুফ রিডিং (Proofreading) এর বৈশ্বিক নিয়মঃ

প্রুফ-সংশােধনের কাজটি পৃথিবীর প্রায় সব দেশে একই নিয়মেই করা হয়। ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে Indian Standards Institution প্রকাশনার সুবিধার্থে প্রুফ-সংশােধনের নিয়মাবলি নির্ধারণের জন্য একটি কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি প্রুফ' বা লেখা সংশােধনে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নিয়মকানুন বিচার-বিশ্লেষণ করে আধুনিক ও যুগােপযােগী একটি সর্বভারতীয় নিয়মাবলি (Proof Corrections for Printers and Authors) প্রণয়ন করেন। বলা যায়, পরবর্তীকালে এটিই প্রুফ রিডিং (Proofreading) এর বৈশ্বিক নিয়মে পরিণত হয়। আমাদের দেশেও বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় সামান্য কিছু রদবদল করে সর্বভারতীয় নিয়মকেই অনুসরণ করা হয়।

প্রুফ রিডিংয়ে যে বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখতে হয়ঃ

মুদ্রিত কোনাে কিছু (যেমন- খবরের কাগজ, পত্র-পত্রিকা, বই, অভিধান, গল্প, উপন্যাস, নাটক, কবিতা ইত্যাদি) কারও সামনে উপস্থাপন করার পূর্বে তা প্রেসে বা কম্পিউটারে ছাপিয়ে নিতে হয়। প্রেসের কম্পােজিটর (বর্তমানে কম্পিউটার অপারেটর) মেশিনের অক্ষরে তা আবার লেখেন। লেখার পর কাগজে ছাপ তােলেন। এ ছাপ তােলার কাগজটিই হলাে প্রুফ। অর্থাৎ লেখকের লেখার একটি প্রমাণ বা প্রুফ (Proof) । 

কম্পােজিটর মেশিনে লেখার সময় লেখকের লেখা হুবহু লিখেছেন কি না তা মূল লেখকের লেখার সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে হয়। তখন যদি লক্ষ্য করা যায় কম্পােজিটর কিছু অংশ বাদ দিয়েছেন, কিংবা বানানে ভুল করেছেন, অথবা হস্তাক্ষর না বুঝতে পেরে অন্য শব্দ কম্পােজ করেছেন, তখন ওইসব ত্রুটি সংশােধন করাই প্রুফ-সংশােধনের কাজ। প্রকাশক মহলে Proof এর বাংলা ‘মুদ্রণিকা’ যা থেকে মুদ্রণ করা হয়। সুতরাং প্রুফ-সংশােধন অর্থ- মুদ্রণিকা সংশােধন।

বাংলা ভাষায় প্রুফ রিডিংয়ে যেসব বিষয়ে জ্ঞান থাকতে হয়ঃ

শুধু কম্পােজিটর বা কম্পোজ যিনি করে থাকেন, সোজা বাংলায় বললে, লেখাগুলো যিনি ছাপার অক্ষরে কম্পিউটারে টাইপ বা কম্পোজ করে থাকেন, তিনিই ভুল করেন - বিষয়টি এমন নয়; বরং পাণ্ডুলিপিতে স্বয়ং মূল লেখকও তথ্য-উপাত্ত, বানান, শব্দ বা বাক্য গঠন ইত্যাদিতে ভুল করতে পারেন। কাজেই Proof-reader বা প্রুফ সংশোধনকারী ব্যক্তিকে শুধু কম্পােজিটরের ভুল সংশােধন করলেই চলে না, সেই সঙ্গে লেখকের তত্ত্ব, তথ্য, বাক্য, শব্দ-বিন্যাস ইত্যাদিতে ত্রুটি থাকলে তা-ও সংশোধন করতে হয়। বাংলা ভাষায় প্রুফ রিডিংয়ের ক্ষেত্রে সমাস-সন্ধি, ণত্ববিধান, ষত্ববিধান ইত্যাদি সংশ্লিষ্ট সমস্যার নিরসনেও তাকেই মনযোগ দিতে হয়।

প্রুফ-সংশোধনের প্রয়োজনীয়তাঃ

প্রুফ সংশােধনের প্রয়ােজনীয়তা যে অপরিসীম এই কথাটি বুঝিয়ে বলার সম্ভবতঃ প্রয়োজন হয় না। কারণ, পত্র পত্রিকা, ম্যাগাজিন বা গ্রন্থে যদি তত্ত্ব, তথ্য কিংবা বানান ইত্যাদিতে ভুল থাকে তাহলে অগণিত পাঠকের হাতে পৌঁছাতে পারে ভুলভ্রান্তিযুক্ত লেখা, এর ফলে এই ভুলগুলোই তারা পাঠ করার ফলে তাদের জ্ঞানলাভে থেকে যেতে পারে ত্রুটি- যা নিঃসন্দেহে মারাত্মক একটি ব্যাপার। কাজেই নির্ভুল জ্ঞানলাভের প্রয়োজনে পত্র পত্রিকা, ম্যাগাজিন বা গ্রন্থ যা-ই হোক না কেন, তা নির্ভুলভাবে প্রকাশ করা অতীব জরুরি। আর নির্ভুল বই পত্র ছাপার পূর্বশর্ত হলাে প্রুফ কপির মধ্যে কোনাে ভুল না থাকা।

অন্যদিকে যদিও কোন লেখকের পাণ্ডুলিপির যথাযথ কম্পােজ হওয়া/ না-হওয়া যাচাই করাই গ্রুফ সংশােধন, তবু আরও কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখার মত রয়েছে, যেমন- বই হােক বা পত্রিকা, যা-ই হােক, মুদ্রিত কোনাে লেখা জনসাধারণ্যে প্রকাশ পেলে প্রশাসনিক, সামাজিক, ধর্মীয় বহু ক্ষেত্রে তার বিস্তৃতি ঘটে এবং ত্রুটি-বিচ্যুতির জন্য ছাপাখানা আইন (Press Act) -এর আমলযােগ্য অপরাধের আওতাভুক্ত হতে পারে। কাজেই প্রুফ-সংশােধনের সময় এসব বিষয়ও বিবেচনায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

প্রুফ-সংশোধনের সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হয়

প্রুফ-সংশােধনের সময় সংশােধকের সাবধান হওয়া একান্ত দরকার। লেখকের সম্পর্কে বলা হয়- ‘কালি-কলম-মন, লেখে তিনজন'। কিন্তু প্রুফ-সংশােধকের বেলায় চোখ ও মনের সংযােগ, সেই সঙ্গে জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতা একান্ত প্রয়ােজন। কোনাে শব্দের ওপর নজর পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে বানানটি ঠিক কি না, এ বাক্যে শব্দটির প্রয়ােগ যথার্থ হয়েছে কি না ইত্যাদি। প্রুফসংশােধকের আরেকটি বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে, একজন প্রুফ-সংশােধক যা পড়বেন (বই, খবরের কাগজ যেটিই হােক), সেখানে কয়টা ভুল হয়েছে তা যেন তার চোখ এড়িয়ে না যায়।

প্রুফ-সংশোধনের নিয়ম

প্রুফ-সংশােধনের সময় ভুলকে চিহ্নিত করা এবং সেটি সংশােধন করাই আসল কাজ; তবে জানার ঘাটতির জন্য অনেক সময় শুদ্ধটাও সংশােধিত হয়ে অশুদ্ধ হয়ে যেতে পারে। কম্পােজের সময় কোনাে জায়গায় অতিরিক্ত বর্ণ, শব্দ, বাক্য কম্পােজ হয়। আবার কখনাে বর্ণ, শব্দ, বাক্য বাদও পড়ে যায়। বানানের ভুল তাে থাকেই। কিছু সাংকেতিক চিহ্ন আছে যা ব্যবহার করে সংশােধনের নির্দেশ দেওয়া হয়। সাংকেতিক চিহ্ন না জানলে ভুলটি অন্যত্র শুদ্ধ করে লিখে টেনে দিলেও কাজ চলে।

9. অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট ক্যারিয়ার

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ তৈরি করে কিভাবে আয় করা যায়?||অ্যান্ড্রয়েড (Android App) অ্যাপ কিভাবে তৈরি করা যায়?

বর্তমান যুগ হচ্ছে স্মার্টফোনের যুগ। এই স্মার্টফোনের অ্যাপগুলো আসে গুগলের প্ল্যাটফর্ম প্লে স্টোর হতে। আপনি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ তৈরি করে গুগলের প্ল্যাটফর্ম প্লে স্টোরে প্রকাশ বা পাবলিশ করে দিলেই কিন্তু আপনার ব্যাংক একাউন্টে ডলার বাংলা টাকায় কনভার্ট হয়ে প্রবেশ করবে। আর এভাবেই আপনি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করে ক্যারিয়ার গঠন করতে পারবেন।

একটু দাঁড়ান, আরো কিছু বলার বাকি আছে। সম্ভাবনার শেষ এখানেই নয়। সম্ভাবনা বা  সুযোগ আরো আছে। নিচে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করে ক্যারিয়ার গঠনের জন্য নিম্নলিখিত উপায়ে আপনি আয় করতে পারেন।

 আপনি হয়তো লক্ষ্য করেছেন ,আপনার স্মার্টফোনে প্লে স্টোর নামে একটি অ্যাপ আছে। এই প্লে স্টোরের মধ্যে লক্ষ লক্ষ আরো অ্যাপ আছে। এই লক্ষ লক্ষ অ্যাপগুলো যারা বানায় ,তাদেরকে বলা হয় অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপার। আপনি অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপার হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন। আপনার তৈরিকৃত অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটির মধ্যে আপনি গুগলের এডমোব নামক এড নেটওয়ার্ক থেকে অ্যাডভার্টাইজমেন্ট কোড যুক্ত করে আয় করতে পারবেন। 

একটি ভালো মানের অ্যাপ তৈরি করে তারমধ্যে এডমোব থেকে বিজ্ঞাপন প্রদানের মাধ্যমে আপনি একটি সুন্দর ক্যারিয়ার গঠন করতে পারবেন। এখন প্রশ্ন হলো আপনি কত টাকা আয় করতে পারবেন? আমি প্রমাণ হিসাবে একটি লিংক দিচ্ছি। উক্ত লিংকে যাওয়ার পর আপনি দ্বিতীয় ভিডিওটি প্লে করে দেখবেন। আমি নিশ্চিত যে, আপনি অবাক হয়ে যাবেন।
 
 আপনি আপনার তৈরিকৃত একটি প্লে স্টোর বা অ্যামাজনের অ্যাপ স্টোরে পেইড অ্যাপ হিসাবে বিক্রি করতে পারেন।ধরুন, আপনি একটি অ্যাপ তৈরি করলেন যেটি ডাউনলোড করতে গেলে ১ ডলার খরচ করতে হবে। আপনি যদি আপনার অ্যাপটির জন্য প্রতি মাসে ১০০০ ডাউনলোড পান, তাহলে আপনি মাসে আয় করবেন ১০০০ ডলার।

আবার, আপনি যদি আপনার অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপের মধ্যে এমন কোন  কন্টেন্ট রাখেন,যা ব্যবহার করতে হলে ক্রয় করতে হবে। এভাবে আপনারা আর্নিং এর আরেকটি উৎস তৈরি করতে পারবে।

10. অনলাইন পেইড সার্ভে করে টাকা আয়

অনলাইনে পেইড সার্ভে করে আয় : আপনি যদি অনলাইনে আয় করতে চান। তাহলে আমি অনেক উপায় পেয়ে যাবেন। তবে আজ এই আর্টিকেলে আপনাকে জানাব অনলাইন পেইড সার্ভে করে টাকা আয় করার জনপ্রিয় কিছু ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানাব।

আপনি যদি পেইড সার্ভে করে আয় করতে চান। তাহলে আপনাকে অবশ্যই আমাদের দেওয়া আর্টিকেল শেষ পর্যন্ত অনুসরণ করতে হবে। তো চলুন এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

উক্ত পেইড সার্ভে করার ওযেবসাইট গুলোর মধ্যে যে কোন নতুন ব্যক্তি অনলাইনে আয করতে পারবেন তবে আপনার কাছে একটি ডিভাইস থাকতে হবে যেমন- একটি কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা স্মার্ট মোবাইল। তাহলেই আপনি সার্ভে করে অনলাইন আয় করা শূরু করতে পারবেন।

বর্তমান সময়ে অনেক উপায় আছে অনলাইন আয় করার সেই বিষয়ে আমরা একটু আগে বলেছি। সেগুলোর মধ্যে জনপ্রিয় কিছু অনলাইন আয় হলো ব্লগিং করে আয়, ইউটিউব থেকে আয়, জে-আইটি আর্নিং প্রোগ্রাম থেকে আয় ইত্যাদি।

আপনি উপরে যে অনলাইন আয় এর বিষয়ে দেখতে পারলেন সেগুলো করতে আপনার অনেক সময় ও পরিশ্রম করতে হবে। এছাড়া অনেক ধরণের সাধারণ জ্ঞান থাকতে হবে।

কিন্তু আপনি যদি কম পরিশ্রম করতে চান। এবং পার্টটাইম হিসেবে অনলাইন আয় করতে চান। তাহলে আপনাকে অনলাইন কাজের মধ্যে পেইড সার্ভে করার কাজ খুজে নিতে হবে।

কারণ আপনি পেইড সার্ভে ওয়েবসাইট গুলো প্রতিদিন দুই থেকে তিন ঘন্টা কাজ করে ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। এবং এই কাজ করার জন্য আপনাকে তেমন শ্রম দিতে হবে না।
আপনি যদি পেইড সার্ভে ওয়েবসাইট গুলোতে যুক্ত হয়ে নিয়মিত কাজ করতে পারেন। তাহলে প্রতি মাসে প্রায় ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।

আপনি যদি নিজের ঘরে বসে পার্ট টাইম জব করে আয় করতে চান। মানে আপনি যদি একজন স্টুডেন্ট বা গৃহিনী হয়ে থাকেন তাহলে এই পেইড সার্ভে করে আপনার মাসিক হাত খরচ চালাতে পারবেন।

আপনি যদি অনলাইনে সার্ভে করে আয় করতে চান। তাহলে আপনাকে সার্ভে ওয়েবসাইট গুলোর প্রতি সু নজর দিতে হবে। কারণ অনলাইনে অনেক ফেইক ওয়েবসাইট রয়েছে। যে গুলোতে কাজ করার পরে টাকা পে করে না। সেই সকল ওয়েবসাইট থেকে আপনাকে বিরত থাকতে হবে।

অনলাইনে পেইড সার্ভে করার জনপ্রিয় ওয়েবসাইট
Viewpointpanel.com
Ysense.com
Paidviewpoints.com
Neobux.com
Toluna.com

11. অনলাইনে ছবি বিক্রি করে টাকা আয় করুন – (Sell Your Photos)

এমনিতে, Internet থেকে টাকা আয় করার বিভিন্ন উপায়, আমি আপনাদের এই ব্লগে বলে এসেছি। এর মধ্যেই, ফটোগ্রাফি করে অনলাইন টাকা আয় করার একটি বিশেষ সুযোগ এর ব্যাপারে আমি আজ আপনাদের বলবো। (Earn Money By Selling Images Online).

আপনি কি নিজের মোবাইল ফোনে বা ক্যামেরাতে, ছবি তুলে ভালো পান ?
আপনি কি, নিজের আসে পাশে থাকা বিষয় গুলি নিয়ে ছবি উঠিয়ে আনন্দ অনুভব করেন ?

তাহলে, হতে পারে ছবি তোলা আপনার একটি “প্যাশন (passion)“, এবং এই ছবি তোলার প্যাশন টিকেই বানিয়ে নিতে পারবেন “লাভজনক অনলাইন ইনকামের মাধ্যম” (profitable online income source).

আপনি অনলাইনে ছবি বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারবেন।
আপনার তোলা প্রত্যেকটি ছবি, অনেক সহজে আপনাকে টাকা আয় করে দিতে পারবে।
এই ক্ষেত্রে, অনেক ভালো ব্যাপার এটাই যে, এখানে আপনার কোনো বিশেষ ধরণের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা বা প্রশিক্ষনের প্রয়োজন নেই।

অবশই, ক্যামেরা এবং ফোটোগ্রাফি নিয়ে সাধারণ অভিজ্ঞতা থাকাটা জরুরি, যদি আপনি ভালো মানের ছবি তুলতে চাচ্ছেন।
তাছাড়া, এভাবে ছবি তুলে অনলাইন টাকা আয় করার জন্য, আপনার কোনো ধরণের অনলাইন ওয়েবসাইট বা কোম্পানি তৈরি করার কোনো প্রয়োজন হবেনা।

অনলাইনে ছবি বিক্রি করে টাকা আয় কিভাবে করবেন

এমনিতে, ইন্টারনেটে বিভিন্ন মাধ্যম রয়েছে, যেগুলি ব্যবহার করে আপনারা নিজে তোলা ছবি গুলি দিয়ে টাকা করতে পারবেন।

তবে, আমি আজ এই আর্টিকেলে কেবল লাভজনক এবং যেই মাধ্যম ব্যবহার করে অনেক ফটোগ্রাফাররা অনলাইন ইনকাম করছেন, সেই বিশেষ মাধমের বিষয়ে বলবো।

এবং, এই মাধ্যমটি  হলো, অনলাইন স্টক ইমেজ ওয়েবসাইট (Online stock image website).
আজ, ডিজিটাল মার্কেটিং এবং ইন্টারনেটের যুগ।

এই ক্ষেত্রে, বিভিন্ন কোম্পানি, ব্লগার, ফ্রিল্যান্সাররা এবং অনলাইন বিসনেস গুলি, অনলাইন কনটেন্ট, brochures, বিজ্ঞাপন (advertisement) এবং অন্য অনেক কাজের জন্য “স্টক ইমেজ” (stock image) ব্যবহার করেন।

এই ধরণের স্টক ইমেজ (stock images) ব্যবহার করার ফলে, তাদের একটি photographer ভাড়া নিয়ে photo shoot করার খরচ বেঁচে যায় (যেটা অনেক বেশি).

এখন, এই স্টক ইমেজ (stock images) গুলি, আমার এবং আপনার মতো লোকেরা “স্টক ইমেজ ওয়েবসাইট” গুলিতে আপলোড করতে পারবেন।

যখনি কেও আপনার আপলোড করা ছবি stock image website গুলির থেকে কিনে নিবে, তখন সেই ছবি ব্যবহার করার সম্পূর্ণ অধিকার তাকে দিয়ে দেয়া হবে।

তার সাথে সাথে, আপনিও কিছু পরিমানে টাকা অবশই পেয়ে যাবেন।
এবং এভাবেই, কিছু লাভজনক ও জনপ্রিয় স্টক ইমেজ ওয়েবসাইট গুলিতে ছবি আপলোড করে টাকা আয় করাটা একটি লাভজনক অনলাইন ব্যবসা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অনলাইন ব্যবসা কি

স্টক ইমেজ ওয়েবসাইটে ছবি কিভাবে বিক্রি করবেন ?
আপনি যেই stock image website এ, ছবি আপলোড করে অনলাইন টাকা আয় করার কথা ভাবছেন, সেই ওয়েবসাইটে গিয়ে “become a contributor“, “Submit image” বা “Sell your image” বলে অপসন খুঁজতে হবে।